এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিংয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে। ব্রাদার্স এবং ওল্ডডিওএইচএসের ম্যাচে শেষ বলটি ওয়াইড ছিলো বলে অনেকেই দাবি করেছেন। কিন্তু সেই বলটি ওয়াইড না দিয়ে খেলা শেষ করে দেন আম্পায়ার। যার কারণে ২ রানের জয় পায় ব্রাদার্স।
টি-টোয়েন্টি মানেই উত্তেজনা। কিন্তু শেষ ওভারে যখন মাত্র ৭ রান প্রয়োজন তখন উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এমন উত্তেজনাকর ম্যাচে এমন কাণ্ড করে বসলেন আম্পায়ার যাতে করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে আম্পায়ারিং। মেষ ওভারে ওল্ডডিওএইচএসের দরকার ৭ আর শেষ বলে দরকার ৩।
প্রিতমকে সুজনের করা বলটার দিকে ভালো করে চোখ রাখুন। খালি চোখে বলাই যায় নিশ্চিত ওয়াইড এটি। কিন্তু আম্পায়ার কল দিলেন বৈধ বলের। প্রতিবাদ জানিয়েছিল ওল্ডডিওএইচএস, তবে তা ধোপে টিকেনি। ফলাফল আসরের দ্বিতীয় জয় ব্রাদার্সের।
এদিকে দিনের অন্য ম্যাচও ছিলো বেশ রোমাঞ্চকর। বিগ বাজেটের আবাহনীর বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা খেলাঘর ইমতিয়াজের ব্যাটে পায় ঝড়ো সূচনা। তার ৬৬ রানের সঙ্গে ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা মেহেদী মিরাজের ব্যাটে আসে ৩৩। শেষের দিকে সালমানের ৯ বলে ১৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভারে খেলাঘরের সংগ্রহ ১৬৪।
চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুনিম আর ইনফর্ম মুশফিকের উইকেট হারিয়ে বিপাকে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। পরে আবাহনী কক্ষপথ খুঁজে পায় নাঈম-শান্তর ব্যাটে। দুজনেই ফেরেন ৪৯ করে। শেষের দিকে আফিফ চেষ্টা করেছিলেন সত্যি তবে দলকে জেতাতে পারেনি। নির্ধারিত ওভারে আবাহনী থামে ১৫৬তে।
আবাহনী হারায় মোহামেডানের সুযোগ ছিল এককভাবে শীর্ষে ওঠার। বোলিংয়ে দুর্দান্ত সাকিবের সুযোগ ছিলো ব্যাটিংয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়া, তবে তার কোনটাই হয়নি।